বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি তাদের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যশোরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করেছে। নগর ও সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ছিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, জমকালো সমাবেশ ও নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাসমুখর উপস্থিতি।
বুধবার দুপুরে যশোর টাউন হল ময়দান থেকে শুরু হয় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল কর্মসূচি। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
সমাবেশ শেষে টাউন হল ময়দান থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে দড়াটানা মোড়, চৌরাস্তা মোড়, আরএন রোড হয়ে মনিহারে গিয়ে শেষ হয়। পুরো শহরজুড়ে শোভাযাত্রার জমকালো আয়োজন দর্শনার্থী ও সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ। এ সময় জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। তাদের মধ্যে ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান খান, মারুফুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক আব্দার হোসেন খান প্রমুখ।
এছাড়া নগর ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারাও বক্তব্য দেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুম এবং সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।
শোভাযাত্রায় অংশ নেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম রেজা দুলু, অ্যাড. মো. ইসহক, জাফর সাদিক, আব্দুস সালাম আজাদ, অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুলসহ আরও অনেক নেতা।
এছাড়া নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকনসহ নেতাকর্মীদের উপস্থিতি সমাবেশকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
বক্তারা সমাবেশে বলেন, জনগণ সবসময় বিএনপির পাশে থেকেছে কারণ দলটি গণতন্ত্র রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা পালন করেছে। গত ১৬ বছর ধরে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত আন্দোলন-সংগ্রামে লড়াই করে এসেছে।
তাদের দাবি— একমাত্র বিএনপিই পারে জনগণের স্বপ্নের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। তারা উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসন ও র্যাব-পুলিশের নির্যাতন উপেক্ষা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আত্মত্যাগ করেছে।
পুরো যশোর শহরজুড়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা ও সমাবেশ ছিল উৎসবমুখর। হাজারো নেতাকর্মী মিছিল, স্লোগান ও ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে শোভাযাত্রার রঙিন পরিবেশ সাধারণ মানুষকেও আকর্ষণ করে।