মাত্র ৩৩.৫ সেকেন্ডে ১০টি রঙ সঠিকভাবে চিনে আলাদা বালতিতে রেখে বিশ্বকে চমকে দিল এক ক্ষুদে তোতাপাখি। নাম তার জিয়াওগুই (Xiaogui)। চীনের এই বুদ্ধিমান পাখিটি তার অসাধারণ প্রতিভা দিয়ে এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। শুধু রূপে নয়, অনন্য দক্ষতায়ও সে জয় করেছে কোটি মানুষের হৃদয়।
চৌকো একটি বোর্ডের সামনে দাঁড় করানো হয় জিয়াওগুইকে। বোর্ডের একপাশে সাজানো ছিল ১০টি ভিন্ন ভিন্ন রঙের ছোট বালতি, আর অপর পাশে রাখা ছিল একই রঙের স্ট্র বল। খেলা শুরু হতেই পাখিটি অবিশ্বাস্য গতিতে কাজ শুরু করে।
- প্রথমে চঞ্চু দিয়ে একটি বল তোলে
- সঠিক রঙের বালতিতে সেটি ফেলে দেয়
- তারপর দ্রুত ছুটে যায় পরের বলের দিকে
- একের পর এক বল একেবারে নির্ভুলভাবে সাজিয়ে যায়
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, পুরো কাজটি সে সম্পন্ন করে মাত্র ৩৩.৫ সেকেন্ডে।
তোতাপাখি সাধারণত শব্দ নকল বা মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য পরিচিত। কিন্তু রঙ বোঝার ক্ষমতায় এমন নিখুঁত দক্ষতা দেখানো সত্যিই বিরল। এত অল্প সময়ে এতগুলো রঙ চেনানোর কীর্তি আর কোনো পাখি আগে দেখাতে পারেনি। ফলে জিয়াওগুই এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বরেকর্ডধারী।
জিয়াওগুইয়ের এই প্রতিভা একদিনে তৈরি হয়নি। খুব ছোটবেলা থেকেই তার মালিক ধৈর্য ধরে তাকে রঙ চেনার অনুশীলন করিয়েছেন। প্রতিদিন ধাপে ধাপে সে শিখেছে রঙ আলাদা করা, সঠিক জায়গায় বসানো এবং দ্রুততার সাথে কাজ সম্পন্ন করা। মালিকের ধৈর্য ও যত্ন, আর জিয়াওগুইয়ের অধ্যবসায় মিলেই আজকের এই অসাধারণ সাফল্য।
এই অনন্য কীর্তির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। কোটি কোটি মানুষ বিস্ময় প্রকাশ করেন ছোট্ট তোতাপাখির বুদ্ধিমত্তায়। অনেকে বলছেন, জিয়াওগুই শুধু একটি পাখি নয়, বরং প্রতিভা আর অধ্যবসায়ের জীবন্ত উদাহরণ।
৩৩ সেকেন্ডে ১০ রঙ চিনে নেওয়ার এই বিশ্বরেকর্ড জিয়াওগুইকে করেছে পৃথিবীবিখ্যাত। একদিকে মানুষের পরিশ্রম আর অন্যদিকে প্রকৃতির বিস্ময়কর দান—দুটির মেলবন্ধনেই সম্ভব হয়েছে এই আশ্চর্য কীর্তি। আজ জিয়াওগুই কেবল একটি তোতাপাখি নয়, বরং প্রতিভা, অধ্যবসায় ও আশার প্রতীক।