বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট সম্প্রতি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কারণ, তাঁর নতুন প্রাসাদপ্রমাণ বাড়ির ছবি ও ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মুম্বইয়ের পালি হিলে রণবীর কাপুর ও আলিয়ার নতুন বাড়িটি একসময় রাজ কাপুরের ছিল। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ করে এখন গৃহপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে তারা। কিন্তু হঠাৎই বাইরে থেকে তোলা সেই বাড়ির ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
আলিয়ার অভিযোগ, এটি তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ। তিনি ছবিগুলি মুছে ফেলার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং জানিয়েছেন, তাঁর ‘প্রাইভেসি’ লঙ্ঘন করা হয়েছে।
অভিনেত্রী ও নেট-প্রভাবশালী পায়ল রোহতগী এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলিয়াকে তীব্র কটাক্ষ করেন। নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, “বাড়ির বাইরে থেকে ছবি তোলা কোনোভাবেই ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ নয়। বরং স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ছবি যদি কেউ তোলে, তবে সেটাই হবে প্রাইভেসি লঙ্ঘন।”
পায়ল আরও যোগ করেন, “আজকাল নেট-ইনফ্লুয়েন্সাররা রাস্তায় দাঁড়িয়ে এমন ভিডিও করেন যেখানে আশেপাশের অনেক বাড়ি ধরা পড়ে। যদি সমস্যা থাকে, তবে আপনার ক্ষমতা আছে বাড়ির সামনে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করার বা সিসিটিভি লাগানোর।”
পায়লের এমন মন্তব্যে নেটিজেনদের একাংশ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন। আলিয়ার ভক্তরা পায়লকে একহাত নিয়ে বলেন, তিনি শুধুমাত্র আলোচনায় থাকার জন্য এমন কুরুচিকর মন্তব্য করেন।
একজন লিখেছেন, “মানুষ নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখার জন্য কত কিছু করছে! এই মহিলার কথাবার্তায় কেবল ঘৃণাই ঝরে।” অন্য একজন মন্তব্য করেন, “আলিয়ার বাড়ি মানে তাঁর ব্যক্তিগত জায়গা। বাইরে থেকে ছবি তোলা মানেই সেটা অনধিকার প্রবেশ।”
এখন প্রশ্ন উঠছে—সেলেব্রিটি হওয়ায় কি আলিয়ার ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপকে স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে হবে? নাকি তাঁরও অধিকার আছে নিজের জায়গাটুকু বাঁচিয়ে রাখার?
আলিয়া ভট্টের এই ক্ষোভ দেখাচ্ছে, গোপনীয়তা শুধু সাধারণ মানুষের নয়, তারকাদের জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আর পায়ল রোহতগীর মন্তব্য সেই বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে।