যশোর রাজনীতিতে আবারও আলোচনায় এসেছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়। অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মণিরামপুর পৌর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন আলমকে বহিষ্কার করেছে জেলা বিএনপি। এ সিদ্ধান্তকে ঘিরে স্থানীয় রাজনীতিতে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন সোমবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মহসিন আলম শুধু অনৈতিক কর্মকাণ্ডেই জড়িত ছিলেন না, বরং তিনি দলীয় শৃঙ্খলাও ভঙ্গ করেছেন। এ কারণে তার প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব ধরনের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
দলীয় নির্দেশনায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী তার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। এতে বোঝা যায়, সংগঠন তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে।
এটি প্রথম নয়। এর আগে ৩০ আগস্ট একই পৌর বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সাব্বির হোসেনকেও গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। একের পর এক এমন ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় জরুরি। কারণ সাধারণ মানুষের কাছে দলীয় নেতাদের ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মকাণ্ডও দলকে প্রতিনিধিত্ব করে। যদি কোনো নেতা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে তার প্রভাব সরাসরি পুরো সংগঠনের ওপর পড়ে।
একজন স্থানীয় বিএনপি সমর্থক জানান, “আমরা চাই সৎ ও পরিচ্ছন্ন নেতৃত্ব। যারা ব্যক্তিগত স্বার্থে দলের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করবে, তাদের জায়গা নেই।”
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতেও যদি কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ড বা শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে তার বিরুদ্ধেও একই ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে বোঝা যায়, সংগঠন শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে শূন্য সহনশীলতা নীতি অনুসরণ করছে।