রবিবার রাত আকাশে দেখা যাবে এক বিরল জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক দৃশ্য—পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে গিয়ে চাঁদ হয়ে উঠবে রক্তবর্ণ। এই সময় অনেকেরই আগ্রহ থাকে আকাশে তাকিয়ে “ব্লাড মুন” দেখার। তবে জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদদের মতে, এই সময় কিছু নিয়ম মানা জরুরি। না মানলে হতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। আসুন জেনে নেই বিস্তারিত।
বিজ্ঞানীদের হিসাব অনুযায়ী, রবিবার রাত প্রায় ৯টা থেকে শুরু হয়ে রাত আড়াইটে পর্যন্ত আকাশে দৃশ্যমান থাকবে এই চন্দ্রগ্রহণ। আকাশ পরিষ্কার থাকলে ভারতসহ এশিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে খালি চোখে দেখা যাবে রক্তাভ চাঁদ।
চন্দ্রগ্রহণকে ঘিরে প্রচলিত বিশ্বাস ও জ্যোতিষ শাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী কিছু কাজ একেবারেই নিষিদ্ধ। এগুলো এড়িয়ে চলা ভালো—গ্রহণের সময় বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। ঘরের ভেতরে থাকাই নিরাপদ। তবে শোয়া যাবে না।খাবার গ্রহণ বা রান্না করা থেকে বিরত থাকুন। এ সময় ছুরি বা কাঁচি ব্যবহার বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়।শৌচাগারে যাওয়া, স্নান করা বা মলমূত্র ত্যাগ এড়িয়ে চলতে বলা হয়।দাঁত মাজা, চুল বা দাড়ি আঁচড়ানো এবং কাটা নিষিদ্ধ।খালি চোখে চন্দ্রগ্রহণ দেখা ক্ষতিকর হতে পারে, এতে চোখের ক্ষতি হয়।গহনা বা অলঙ্কার পরে থাকা থেকেও বিরত থাকতে বলেন জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদরা।পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ চলাকালীন কোনো ধরনের পূজা-পাঠ করা থেকে বিরত থাকুন।
নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি কিছু কাজ করলে শুভ ফল পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়।বাড়ির খাবার ও পানিতে তুলসি পাতা রেখে দিন। এটি গ্রহণের নেতিবাচক প্রভাব দূর করতে সহায়ক বলে বিশ্বাস।মানসিক প্রশান্তি ও সুরক্ষার জন্য গোপাল মন্ত্র জপ করতে পারেন।গ্রহণ শেষে স্নান করুন এবং পরিষ্কার পোশাক পরুন। এটি শুদ্ধিকরণের প্রতীক।
বিজ্ঞানীদের মতে, পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ পৃথিবীর স্বাভাবিক কক্ষপথ ও গতির কারণে ঘটে। এটি বিরল কোনো ঘটনা নয়, তবে চাঁদের রক্তবর্ণ রূপ সত্যিই বিরল দৃশ্য। অন্যদিকে, জ্যোতিষ শাস্ত্র এ সময়কে অশুভ বলে মনে করে এবং নানা নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেয়।