সুবেহ সাদিক—ভোরের সেই মুহূর্ত, যখন আকাশে সোনালি আভা ছড়িয়ে পড়ে, অথচ শহর তখনো ঘুমে আচ্ছন্ন। যশোর শহরের দড়াটানা ব্রিজে দাঁড়িয়ে এই ভোরের দৃশ্য দেখা সত্যিই এক অনন্য অভিজ্ঞতা। চারপাশে নীরবতা, শুধু পাখির কিচিরমিচির আর দূর থেকে ভেসে আসা আজানের সুমধুর ধ্বনি—সব মিলিয়ে প্রকৃতির এক প্রশান্ত আবহ তৈরি হয়।
পূর্ব দিক থেকে সূর্যের কোমল আলো যখন আস্তে আস্তে ভেসে আসে, তখন ভৈরব নদের পানিতে সৃষ্টি হয় এক অপূর্ব দৃশ্য। স্বচ্ছ ও শান্ত জলের আয়নায় শহরের ভবনগুলোর প্রতিচ্ছবি যেন এক আঁকা ছবি। আকাশের নীল রঙ, সূর্যের সোনালি আভা আর নদীর বুকে সেই প্রতিফলন মিলেমিশে তৈরি করে এক স্বপ্নিল দৃশ্যপট। মুহূর্তে মনে হয়—এটি কোনো ছোট্ট শহরের নয়, বরং বিদেশের কোনো মনোরম প্রান্তর।
যশোর শহরের সকাল পাঁচটা যেন একেবারেই অন্যরকম। নেই যানবাহনের কোলাহল, নেই মানুষের ভিড়। প্রকৃতি তার সবচেয়ে নির্মল রূপে ধরা দেয়। দড়াটানা ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে যখন এই দৃশ্য চোখে পড়ে, মনে হয় শহরটিকে নতুনভাবে চিনছি। প্রতিটি বাতাসের দোলা, প্রতিটি আলো-ছায়া যেন এক নতুন প্রাণ জাগায়।
ভোরের এই দৃশ্য শুধু চোখে দেখা যায় না, হৃদয়ে অনুভব করা যায়। যশোরের ভৈরব নদের তীরে দাঁড়িয়ে ভোরের প্রথম আলোয় যে প্রশান্তি পাওয়া যায়, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। এটি যেন প্রকৃতির লেখা এক নীরব কবিতা—যা কেবল সেইসব মানুষই বোঝে, যারা সত্যিই এই সৌন্দর্যকে কাছ থেকে অনুভব করেছে।
যশোরের সুবেহ সাদিক প্রমাণ করে, নগরের মাঝেও প্রকৃতির সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে। দড়াটানা ব্রিজ কেবল একটি সেতু নয়, বরং এটি শহরের সৌন্দর্য দেখার একটি অসাধারণ জানালা। ভোরের আলো, নদীর ধারা, আকাশের রঙ আর প্রকৃতির শান্ত সুর—সব মিলিয়ে যশোরকে করে তোলে অনন্য।
যশোরের সুবেহ সাদিক কেবল ভোরের একটি দৃশ্য নয়, বরং এটি এক অভিজ্ঞতা, যা হৃদয়ে অনুরণিত হয় সারাজীবন। দড়াটানা ব্রিজে দাঁড়িয়ে ভৈরব নদের বুকে সূর্যের প্রথম আলো দেখা মানে নতুন দিনের প্রতিশ্রুতি অনুভব করা। যারা প্রকৃতিকে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই মুহূর্ত নিঃসন্দেহে এক অনন্য সম্পদ।
✍️ তথ্যসংগ্রহ: সাজেদ রহমান | যশোর 📅 প্রকাশকাল: ২৩ আগস্ট ২০২৫