সাকিব-মাশরাফি, ক্রীড়াঙ্গনের হেভিওয়েট দুজনই যাবেন সংসদে?

তবে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আর রাজনীতির জনপ্রিয়তা দুটোই যে আলাদা বিষয়। সে জায়গায় মাশরাফি যে ক্রিকেট এবং রাজনীতি দুই জায়গাতেই জনপ্রিয় তা প্রমাণ করেছেন। এবার দেখার পালা সাকিবের। মাগুরার মানুষ তাকে কিভাবে গ্রহণ করছেন নেতা হিসেবে?

- Advertisement -

আজ দিন পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনেও হেভিওয়েট অনেক প্রার্থী রয়েছেন। রয়েছেন ক্রীড়াঙ্গনের বেশ কয়েকেজন প্রার্থীও। তাদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় মাশরাফি ও সাকিব রয়েছেন।

বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলছেন না মাশরাফি। তবে সাকিব এখনও দলের অপরিহার্য অংশ। মাশরাফি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন নড়াইল থেকে। এবার যুক্ত হয়েছেন সাকিব মাগুরা থেকে। তাদের দুজনেরই লক্ষ্য এবার নির্বাচিত হওয়া। তবে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আর রাজনীতির জনপ্রিয়তা দুটোই যে আলাদা বিষয়। সে জায়গায় মাশরাফি যে ক্রিকেট এবং রাজনীতি দুই জায়গাতেই জনপ্রিয় তা প্রমাণ করেছেন। এবার দেখার পালা সাকিবের। মাগুরার মানুষ তাকে কিভাবে গ্রহণ করছেন নেতা হিসেবে?

এবার তাই সাকিব নেমেছেন আটঘাট বেঁধেই। প্রচারণার মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। সৌম্য সরকার, রনি তালুকদার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সাব্বির রহমান, নাসির হোসাইনসহ বেশ কয়েকজন সতীর্থদেরও নির্বাচনী প্রচারণার ময়দানে পাশে পেয়েছেন। তবুও যেন জনপ্রিয়তার ফারাকটা একেবারে খালি চোখেই অবলোকন করা যায়। দুই নির্বাচনী এলাকায় দেখা মেলে ভিন্ন চিত্রের। এই যেমন গাড়ি বহরের দৃশ্যই সেই চিত্রের পক্ষে বিপক্ষের তথ্য হতে পারে।

মাশরাফি বিন মর্তুজা নড়াইল-২ আসনের এ মাথা থেকে ও মাথা ছুটে বেড়িয়েছেন। তার প্রধান বাহন ছিল মোটরবাইক। তিনি যখনই নির্বাচনী প্রচারণায় বেড়িয়েছেন তখনই তাকে ঘিরে ধরেছে আরও শ’খানেক বাইক। সবাই তার প্রচারণায় অংশ নিয়েছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে। একেবারেই উল্টো না হলেও খানিক ব্যতিক্রম সাকিবের গাড়িবহর।

সাকিবের গণসংযোগের মূল বাহন ছিল মোটে তিনটি গাড়ি। সেই গাড়িতেই চড়ে বিভিন্ন সভায় অংশ নিয়েছেন সাকিব। জনপ্রিয়তার ঘাটতির মূল কারণ হতে পারে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা। তাছাড়া বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে সাকিব-তামিম দ্বন্দও খানিকটা প্রভাবিত করেছে হয়ত সামগ্রিক দৃশ্যপটে।

অন্যদিকে, মাশরাফি বিন মর্তুজা যেন নিজের জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী। তাইতো নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে তিনি চলে গেছেন সাকিবের কাছে। সাকিবের নির্বাচনী এলাকায় জাতীয় দলের সতীর্থদের সাথে নিয়ে সমাবেশ করেছেন। ভোট চেয়েছেন সাকিবের পক্ষে। তাতেই বরং প্রমাণিত হয়, মাশরাফি ঠিক কতটুকু নির্ভার নিজের জনপ্রিয়তা নিয়ে।

এসব কিছু ছাড়াও, সাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ার জুড়ে অর্জনের কমতি নেই। তবে নানা সময়ে তিনি নানামুখী বিতর্কের সাথে জড়িয়ে গেছেন। ঠিক সে কারণেও হয়ত সাকিবের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। অন্যদিকে, মাশরাফি বিন মর্তুজার ক্রিকেট ক্যারিয়ার কেটেছে সংগ্রামে। তিনি লড়াই করবার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। পাশাপাশি নিজে থেকেছেন বিতর্কমুক্ত। সে কারণে জনপ্রিয়তায় মাশরাফি রয়েছেন এগিয়ে।

তাছাড়া মাশরাফি বরাবরই সময় দিয়েছেন নিজ এলাকায়। আগের মেয়াদে উন্নয়নও করেছেন। এমনকি বরাবরই মাশরাফি নড়াইলের জনমানুষের সাথে কাটিয়েছেন নিজের অবসর সময়। সাকিব থেকে পুরোপুরি ভিন্ন। তার অধিকাংশ সময়ই কেটেছে শহুরে জীবনে। অবসর সময়ে তিনি পরিবারকে সময় দিতে ছুটে গেছেন সুদূর বিলেতে। তাছাড়া নানামুখী ব্যস্ততায় সাকিব ঠিক মাগুরার হয়ে উঠতে পারেননি।

এসব কিছুই আসলে ফারাকটা গড়ে দিচ্ছে। এসব কিছুই আসলে দুইজনের জনপ্রিয়তার পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিচ্ছে। সাকিবের হাতে হয়ত সুযোগ রয়েছে এই চিত্র বদলে ফেলার। তিনিও হয়ত মাশরাফির মত হয়ে উঠতে চাইবেন। হতে চাইবেন মাগুরার মাটি ও মানুষের একান্ত সাকিব। নির্বাচিত হলে তিনিও নিশ্চয় মাগুরাতেই অনেকটা সময় কাটাবেন। মানুষের সঙ্গে থাকবেন। মানুষের সেবা করবেন।

রাজনীতির মাঠে জনপ্রিয়তাই ব্যাপার হবে নাকি ভালো কাজ করার মানসিকতাও বড় প্রভাব রাখবে সেটার হিসাব মেলাবে জনগণ। আবার তারা দুজনই সংসদে যাবেন নাকি একজনই যাবেন তার প্রমাণ হবে আগামীকাল জনগণের ভোটে।

লেটেস্ট আপডেট...

আইপিএল স্পেশাল...

রিঙ্কুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ পর্নতারকা!

রবিবার আইপিএলের ম্যাচে আমদাবাদে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে নাটকীয় পরিসমাপ্তি ঘটেছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিঙ্কু সিংহের হাত ধরে। শেষ ওভারে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ২৯ রান...

সেলিব্রেটি গসিপ...

সম্পর্কিত আরও পড়ুন...

Leave a Reply