বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী ও ভাষা শহীদদের স্মরণে এবারও লাখো মোমবাতি জ্বেলে ভাষা শহীদদের স্মরণ করবে নড়াইলবাসী। একইসাথে ভাষা দিবসের ৭১ তম বার্ষিকীতে ৭১টি ফানুষ ওড়ানো হবে।
সোমবার ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে শহরের কুরিরডোব মাঠে লাখো মোমবাতি একসাথে জ্বলে উঠবে একুশ আলো উদ্যাপন পর্ষদের আয়োজনে।
একুশে উদযাপন পর্ষদের আহব্বায়ক জানান,আমাদের জ্ঞানের যে অন্ধকার, সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবাষ্প, সমাজের কপমুন্ডুকতা – সামগ্রিক এসব অন্ধকারের বিরুদ্ধে একুশের আলো। এ আলো শুধু মাঠের আলো নয়। সামগ্রিক অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জেগে ওঠার প্রত্যয় জাগানিয়া আলো।
জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলের ৬ একরের বিশাল কুররডোব মাঠে সন্ধ্যায় ভাষা শহীদদের স্মরণে লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে।
মাঠে শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতি সৌধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলা বর্ণমালা ও আল্পনা তুলে ধরা হয়। সন্ধ্যার পূর্বে মোমবাতি প্রজ্জলনে কয়েক হাজার শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে।
৬ টা ১৫ মিনিটে লাখো মোমবাতি জ্বেলে ওঠে। এ সময় ‘আমার ভায়ের রক্ত রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গণসংগীত শুরু হয়।
এ আয়োজন সফল করতে ১মাস পূর্ব থেকে সাংস্কৃতিক কর্মী, সেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক কাজ শুরু করেন। তিন শতাধিক পুলিশ ও সেচ্ছাসেবক মাঠের চারপার্শ্বের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করে থাকেন।
একুশের আলো উদযাপন পর্ষদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মলয় কুন্ডু বলেন, এবার সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে কোনো দর্শক শ্রোতা না রেখে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হবে।