মাইকেল মধুসূদন দত্ত কেশবপুরের এই পাঠশালায় ছোট্ট বেলায় পড়াশোনা করেছেন। সাগরদাড়ির দত্ত বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার উত্তরে শেখপুড়া জামে মসজিদ। এই মসজিদেই তিনি পড়াশোনা করেন।
মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন মৌলভী সৈয়দ বিরাজতুল্লাহ। তিনি আরব দেশ ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান। মসজিদের সামনেই তাঁর কবর রয়েছে।
এই মসজিদের ইমাম মৌলভী লুৎফল হক মধু কবির প্রথম শিক্ষক। তাঁর কাছে মধুসূদন আরবি, ফার্সি শিখেছেন। মধুসূদনের জীবনীগ্রন্থ রচয়িতা গোলাম মুরশিদ ‘আশার ছলনে ভুলি’ বইতে লিখেছেন-‘‘কলকাতায় আসার আগ পর্যন্ত শুধু লেখাপড়া শিখেছিলেন গ্রামের পাঠশালায়।
বাড়ির পাশে ভাল স্কুল না থাকায় মাইল খানেক দুরে আট-নয় বছর বয়স পর্যন্ত তাঁকে ফার্সি শিখতে সেখানে পাঠানো হয়। কবি সে সময় লেখাপড়ায় খুব উৎসাহী ছিলেন।
তখন থেকেই কবিতা পড়া ও মুখস্থ করায় তার আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। কলকাতায় হিন্দু কলেজে পড়ার সময় বন্ধুদের গজল গেয়ে শোনাতেন বলে জানা যায়। পাঠশালার এই ফার্সি শিক্ষার কারণে তিনি ফার্সি প্রীতি অর্জন করেন, সেই প্রীতি এবং সেই সঙ্গে মুসলিম সংস্কৃতি সম্পর্কে তার সচেতনতা দীর্ঘকাল বজায় ছিল।’’
লেখক: সাজেদ রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক, যশোর।