দুই দিকে একই মাটি। মাটির চরিত্র ঘ্রাণও এক। এমনকি ভাষা এবং সংস্কৃতিও একই। দুই বাংলার মাঝে সীমান্ত নামক ভৌগোলিক রেখা দুই দেশের মানুষকে ভারতীয় ও বাংলাদেশি নামে শারীরিকভাবে আলাদা করে রেখেছে। কিন্তু বছরের একটা দিন সীমান্ত রেখায় দুই দেশের মানুষের আবেগ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
এবারেও ভাষা দিবসের সকালে যার ব্যতিক্রম হয়নি। অমর একুশে একসঙ্গে দুই বাংলার মানুষ ভাষা আন্দোলনের শহিদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানালেন। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এপার ওপার দুই বাংলার মানুষ মিলিত হয়েছিলেন।
“জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডর”এর উদ্যোগে হিলি চেকপোস্ট আজ সকালে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পাশাপাশি বাংলা ভাষার গুরুত্ব এবং অমর একুশ নিয়ে আলোচনা ও ভাব বিনিময় হয়। উপস্থিত ছিলেন করিডর কমিটির বাংলাদেশের তরফে হাকিমপুর উপজেলার পরিষদের সভাপতি হারুন উর রশিদ,
সহসভাপতি শাহিনুর রেজা শাহীন, হাকিমপুর পুরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত হাকিমপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের মুস্তাফিজুর মিলন জাহিদুল ইসলাম ও অন্যান্যরা।
এপাড়ের তরফে ছিলেন জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডোরের আহ্বায়ক নবকুমার দাস বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান হরিপদো সাহা হিলি কলেজের
অধ্যাক্ষ নরবু শেরপা বিশিষ্ঠ সমাজসেবী অমূল্যরতন বিশ্বাস হিলি একসাপোর্টারস এসোসিয়েশনের সম্পাদক ধীরাজ অধিকারী ছাত্র ও যুব সমাজ।
ওপাড়ের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ জানিয়েছেন সীমান্তের কাঁটাতার নামক বেড়া দুটি দেশকে ভাগ করে রেখেছে। এটা সত্য হলেও বাংলা ভাষার টান ও ভাষা দিবসের আবেগ দুই দেশের মানুষকে এক করে দিয়েছে। যা আগেও ছিল আগামীতেও অটুট থাকবে।
জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডরের আহবায়ক নবকুমার দাস জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের হিলি থেকে তুরা বাংলাদেশের ভেতর করিডর হলো মেঘালয়বাসীর পাশাপাশি দুই দেশের বাঙালিদের আত্মার আন্দোলন।
ভাষা আন্দোলনের শহিদ রাত শুধু বাংলাদেশেরই নয়। তাঁরা আপামর বাঙালির ভাই। তাই অমর একুশের এই দিনটিতে রফিক জব্বারদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও স্মরণের মধ্য দিয়ে করিডরের আন্দোলনকারীরা এদিন সীমান্তের জিরো পয়েন্টে মিলিত হয়েছিলেন।
করোনা বিধি বজায় রেখেই হিলি চেকপোস্ট প্রাঙ্গন দুই দেশের বাংলা ভাষীদের মিলন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল বলে নবকুমার দাস জানিয়েছেন।